ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা শাহজাহান জেলে, কর্মসুচির ইঙ্গিত ক্ষমতাসীন দলের

jel-haপেকুয়া প্রতিনিধি ::

পেকুয়ায় বিজিবির অবসর প্রাপ্ত সদস্য চাঞ্চল্যকর হেলাল উদ্দিন হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা শাহজাহানকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১জানুয়ারী) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পেকুয়া থানা পুলিশ কবির আহমদ চৌধুরী বাজার থেকে তাকে আটক করে। গতকাল বুধবার ওই মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাকে কক্সবাজার কারাগারে প্রেরন করে পুলিশ। জানা গেছে আটককৃত শাহজাহান উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী এলাকার নুরুল হোছাইনের ছেলে। তিনি সদর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড় যুবলীগের সহ-সভাপতি। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটি সাধারন সম্পাদক ও কমিউনিটি পুলিশিং একই ওর্য়াড়ের সাধারন সম্পাদক। পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মনজুরুল কাদের যুবলীগ নেতা শাহজাহানকে আটকের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানায় বাদি নিশ্চিত করেছেন ওই ঘটনার সাথে আটককৃত ব্যক্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এদিকে যুবলীগ নেতা শাহজাহানকে আটক, অতপর হত্যা মামলায় সম্পৃক্ত করে জেলে পাঠানোর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারন মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও ঘৃনা তৈরি হয়েছে। পেকুয়া বাজারের ব্যবসায়ী ও বাইম্যাখালী এলাকার তার প্রতিবেশিরা জানায় এটি শাহজাহানের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের বিপরীত পুলিশিং আটক করার পর তার প্রতি চরম মানবাধিকারের লঙ্গন করা হয়েছে। যেকোন সাধারন নাগরিকের ন্যায় সঙ্গত আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। নাগরিকের জীবন যাপন ও চলাফেরার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র। কিন্তু যুবলীগ নেতা শাহজাহানকে পরিকল্পিতভাবে ওই হত্যা কান্ডের সাথে জড়িয়ে দিয়েছে একটি স্বার্থন্বেষীমহল। আমারা এলাকাবাসিরা এ ঘটনায় অত্যন্ত মর্মহত হয়েছি। শাহজাহান চক্রের স্বীকার হয়েছে। তার আটকের পর পুরো এলাকায় অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে যুবলীগ নেতা শাহজাহানকে আটক করে হত্যা মামলায় জেলে পাঠানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় ক্ষমতাসীন দল আ’লীগ, যুবলীগসহ সহযোগি সংগঠন। তার আটকের খবরে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। গতকাল বুধবার ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা পেকুয়া বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন। এর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন শাহজাহান আমাদের ত্যাগি একজন কর্মী। যেকোন আন্দোলন, সংগ্রামে আমরা তাকে রাজপথে দেখেছি। তার ত্যাগ আ’লীগের জন্য দীর্ঘ দিনের। গত ইউপি নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ড়ে শাহজাহান মেম্বার প্রার্থী ছিল। সামান্য ভোটের ব্যবধানে বিএনপির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়। মামলার বাদি মমতাজের ভাই দিদারুল ইসলামও একই ওয়ার্ড়ে নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। সে সময় থেকে তাদের মধ্যে ¯œায়ু বিরোধ দেখা দেয়। পেকুয়া বাজারের দক্ষিন পাশে^ বাণিজ্যিক ভবন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে প্রায় ২৮শতক জায়গা নিয়ে বাদি মমতাজের সাথে শাহজাহানের বিরোধ চলছে। এনিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। ভাইয়ের হত্যা কান্ডের এ মামলায় শাহজাহানকে ঘায়েল করার মুল কারন হচ্ছে ওই জায়গা। আমরা ক্ষমতাসীন দল এ ঘটনায় অত্যন্ত মর্মহত হয়েছি। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় আমরাও চরমভাবে ব্যথিত। তবে আমরা যা লক্ষ্য করছি বিএনপির স্থানীয় নীতি নির্ধারকরা বাদির সাথে হাত মিলিয়েছে। মামলা মোড ঘুরাচ্ছে বিএনপির শীর্ষ নেতার ইশারায়। এখন ওই মামলায় আমাদের নির্দোষ, নিরহ কর্মীদের জড়ানোর চেষ্টা চলছে। যা আ’লীগকে শক্তি খর্ব করার গভীর চক্রান্ত। এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা আ’লীগ সদস্য ও উপজেলা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এস.এম গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা আ’লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী বিটু, সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম জানায় আমরা নিশ্চিত হয়েছি শাহজাহানকে অন্যায়ভাবে আটক করে মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমরা বৈঠক করেছি। সিদ্ধান্ত হয়েছে কর্মসুচির। এভাবে মেনে নেয়া যাবেনা। শাহজাহানের বিষয়ে দলের হাই কমান্ডের সাথে যোগাযোগ করা হবে। সে গরীবের ছেলে। কিন্তু দলের নিবেদীত ও ত্যাগী ছেলে।

পাঠকের মতামত: